বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : অস্বীকার তৃণমূলের

29th November 2020 1:09 pm বাঁকুড়া
বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে : অস্বীকার তৃণমূলের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অন্যান্য দিনের মতোই শনিবার রাতে নিজের বাড়ি লাগোয়া দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে বাড়িতে ফেরার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার সাধারন সম্পাদক শ্যামল সরকার। অভিযোগ সেই সময় তৃনমূলের যুব নেতা সুব্রত দে র নেতৃত্বে একদল তৃনমূল কর্মী লাঠি সোঁটা নিয়ে বিজেপির ওই দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয় দলীয় কার্যালয়ের টিভি সহ সমস্ত আসবাবপত্র। দেওয়ালে টাঙানো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ভেঙে ফেলা হয়। বাধা দিতে গেলে আক্রান্ত হন বিজেপির বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল সরকারও। অভিযোগ হামলাকারীরা লাঠি ও মোটা লোহার রড দিয়ে তাঁর পায়ে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। পরে অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা খবর পেয়ে ওই বিজেপি নেতাকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ। আক্রান্ত বিজেপি নেতার দাবি খাতড়ায় বিজেপির একের পর এক দলীয় কর্মসূচীতে মানুষের ভালো সাড়া মেলাতেই তৃনমূল এই হামলা চালিয়েছে। যদিও এই হামলার দায় অস্বিকার করেছে তৃনমূল। তৃনমূলের দাবি বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।